BASIC ACCOUNTING।। হিসাববিজ্ঞানের বেসিক


Basic Accounting(#1)

Accounting

হিসাববিজ্ঞান হলো আর্থিক তথ্য ব্যাবস্থাপনা যার কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ করা অর্থাৎ আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করা, সংগ্রহকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করা

হিসাববিজ্ঞান এবং হিসাব রক্ষন

হিসাব রক্ষন হলো সংগঠিত লেনদেন চিহ্নিত করে লিপিবদ্ধ করাআর হিসাববিজ্ঞানের কাজ লেনদেন শুধু লিপিবদ্ধ করা না, লেনদেন লিপিবদ্ধ করার পর আর্থিক অবস্থার বীবরণি তৈরি করা বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করা হলো হিসাববিজ্ঞান অর্থাৎ হিসাব রক্ষন হলো হিসাববিজ্ঞানের একটি অংশ

হিসাববিজ্ঞানের প্রথম কাজ হলো লেনদেন লিপিবদ্ধ করা এখন কথা হলো 

লেনদেন কী?

লেনদেন হলো একটি আর্থিক ঘটণা যার মাধ্যমে মিনিমাম দুটি পক্ষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়

লেনদেনের বৈশিষ্ট্য

.দুটি পক্ষ:

লেনদেনে মিনিমাম দুটি পক্ষ জড়িত থাকবে

.আর্থিক অবস্হার পরিবর্তন :

লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হতে হবে উভয় পক্ষের

.অর্থের অংকে পরিমাপযোগ্য :

লেনদেন অর্থের অংকে পরিমাপযোগ্য হতে হবে

হিসাব চক্র:

হিসাব চক্র হলো হিসাববিজ্ঞানের সামগ্রিক কার্যক্রম,চক্র বলতে ঘূর্ণয়মাণ কোন কিছুকে বুঝায় হিসাব চক্রে হিসাববিজ্ঞানের সামগ্রিক প্রক্রিয়া বার বার হওয়াকে বুঝায়নিম্নে হিসাব চক্রে দেখানো হলো:

লেনদেন চিহ্নিত করা

লেনদেন লিপীবদ্ধ করা

লেনদেন খতিয়ানভূক্ত করা

কার্যপত্র তৈরি করা

সমন্বয় দাখিলা

সমন্বিত রেওয়ামিল

বিশাদ আয় বীবরণি তৈরি করা

আর্থিক অবস্থার বীবরণি তৈরি করা

সমাপনী জাবেদা

সমাপনী রেওয়ামিল

বীপরিত দাখিলা


হিসাববিজ্ঞানের সর্বপ্রথম কাজ হলো লেনদেন চিহ্নিত করা অর্থাৎ আর্থিক ঘটনা গুলো চিহ্নিত করা

হিসাব চক্রের এর পরবর্তী কাজ হলো লেনদেন লিপিবদ্ধ করাআর্থিক ঘটনা গুলো চিহ্নিত করার পর বিশ্লেষণ করে জাবেদাভূক্ত করা

এর পরবর্তী কাজ হলো চিহ্নিত লেনদেন গুলো পারমানেন্টলি হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা বা খাতিয়ানভূক্ত করাখতিয়ানভুক্ত করার পর হিসাবের শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য রেওয়ামিল তৈরি করাএর পরবর্তী ধাপ হলো সমন্বয় জাবেদা তৈরি করা অর্থাৎ রেওয়ামিল তৈরি করার পর যেসকল  লেনদেন সংগঠিত হইছে অথবা যে সকল লেনদেন হিসাবভুক্ত হয় নাই সকল লেনদেন হিসাবভূক্ত করা এই ধাপের কাজএর পরবর্তী ধাপ হলো সমন্বিত রেওয়ামিল তৈরি করা অর্থাৎ সমন্বয় দাখিলা দেওয়ার পর আবার রেওয়ামিল তৈরি করাএর পরবর্তী ধাপ হলো বিশদ আয় বীবরণি তৈরি করা অর্থাৎ সমন্বিত রেওয়ামিল তৈরি করার পর লাভ লসের পরিমাণ জানার জন্য বিশদ আয় বীবরণি তৈরি করতে হয় বিশদ আয় বীবরণি তৈরি করার পর আর্থিক অবস্থার বীবরণি তৈরি করা হয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ এবং দায়ের পরিমাণ জানার জন্য নির্দিষ্ট তারিখে এর পরবর্তী ধাপ হলো সমাপনী দাখিলা দেওয়া অর্থাৎ বছর শেষে মুনাফা জাতীয় লেনদেন গুলো বন্ধ করে দেওয়া বর্তমানে যা জাবেদা আছে তার বীপরিত দাখিলা দীয়েএর পরবর্তী ধাপ হলো সমাপনী রেওয়ামিল তৈরি করা, বছর শেষ সমাপনি দাখিলা দেওয়ার পর বাকী হিসাব নিয়ে এই রেওয়ামিল তৈরি করা হয়এর পরবর্তী ধাপ হলো বীপরিত দাখিলা দেওয়া এটি হলো ঐচ্ছিক একটি ধাপ