উপন্যাস অপরাহ্ন - হুমায়ূন আহমেদ(Book review)


 উপন্যাস অপরাহ্ন - হুমায়ূন আহমেদ(Book review)



picture: Md. Habibur Rahman

  উপন্যাসটির সম্পূর্ণ অংশে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন তুলে ধরা হয়েছেগ্রামের কৃষি ফ্যামিলিগুলোর জীবনের সংগ্রাম উপন্যাসটিতে তুলে ধরা হয়েছেকৃষক সমাজ কতোটা প্রকৃতির উপর নির্ভশিল তা আমরা শহরের মানুষ তেমন জানি নাকৃষকদের ভালো থাকা নির্ভর করে বৃষ্টির উপর অর্থৎ  ধান পাকার সময় যদী বৃষ্টি হয় তখন কৃষকদের উপর নেমে আসে দূর্ভগউপন্যাসটির মূল চরিথত্র হলো মনির উদ্দিন নামে এক যুবকছোট বেলা থেকে মানির উদ্দিন তার মামা এবং মামীর সঙ্গে থাকতোমামা মামির অভাবের সংসার তাদের নুন আনতে পান্তা পুরাইতো তারপড়েও মনির উদ্দিনকে তার মামি বলতো তোর মাাম তোকে মারতে পারে মার খেয়ে মাটি কামড় দিয়ে থাকবি বুঝলি মনির মিয়াকালের পরিক্রমায় মনির উদ্দিন বড় হয় তার নিজের ঘর করার ইচ্ছে জাগে সে এতোদিন গ্রামের মহাজনের বাড়ী থাকতো তারপর আস্তে টাকা জমিয়ে নিজের ঘর করে এবং তাঁর পছন্দ মতো ভিবিন্ন ফার্নিচার কিনে আনতো(আসলে আমরা যে সকল সন্তানরা ফ্যামিলির সঙ্গে থাকি তারা কিন্তু ফ্যামিলির মর্ম বুঝে না,ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান রাই বুঝে ফ্যামিলির যে কতো দাম কতো দরকারি,

টোকাই অর্থাৎ যাদের বাড়ী ঘর নাই তারা বুঝে বাড়ী থাকার মর্ম)

তারপর মনির উদ্দিন বীয়ে করলো শরীফা নামের একটা মেয়েকে,শরীফার ভাই ছিল তার নাম তন্ত তন্তু ঘন ঘন অর্থাৎ সুযোগ পেলেই তার বোনের শশুর বাড়ী চলে আসতো নিয়ে মনির উদ্দিন শরীফাকে বললে শরীফা বলে ভাতের লোভে আসে সবসময় আটার রুটি খায় তো তাই ভাত খাওয়ার জন্য আসে তুমি বললে আমি না করে দেই তাকেমনিরউদ্দিন এর মায়া লাগলো (একজন দুঃখী মানুষ অপর একজন দুঃখি মানুষের কষ্ট বুঝতে পারে যা একজন সুখি মানুষ বুঝতে পারে নাযেমম ধরেন আপনার বন্ধুর গাড়ী আছে আপনার নেইআপনি যখন প্রতিদিন নিয়মিত পাবলিক বাসে ভিড়ের উঠে ক্লাসে যান আর আপনার বন্ধু তখন গাড়ীতে আরাম করে ক্লাস যায়আপনার কাছে ক্লাসে আসাটা যতো কষ্ট কর আপনার বন্ধুর কাছে ততো কষ্ট কর না কারণ সে গাড়ী করে আসেআপনার কষ্ট আপনার বন্ধু বুঝবে যে পাবলিক বাসে করে এসে ক্লাসে এটেন্ড করেতাই বলা যায় দুঃখি মানুষের কষ্ট একজন দুঃখী মানুষ বুঝে যতোটা সুখি মানুষ বুঝে না) তারপর বললো থাক বলা লাগবে নাতারপর কোন এক মাঝরাতে মনির উদ্দিনের ঘুম ভেঙ্গে গেল র্দূস্বপ্ন দেখেমনির উদ্দিন ঘরের বাহিরের উঠানের এক পাশে গিয়ে দাড়াইল হটাৎ তাকে সাপ কামড় দীলোমনির উদ্দিন একবার কথা দূছিলো তন্তুকে পাঞ্জাবি কিনে দীবে কিন্তু সংসারে অভাবের কারণে কিনে দীতে পারে নাইমনির উদ্দিন তার বউকে বললো আমার কিছু হয়ে গেলে তন্তুকে পাঞ্জাবি এবং টুপি কিনে দীবা

মনির উদ্দিন কে চিকিৎসা করার জন্য কবিরাজ আনচে কিন্তু কবিরাজ দীয়ে কোন কাজ হলো না এক পর্যায়ে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলোমনির উদ্দিন কে গরুর গাড়ী  শুয়াইয়া  ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে তন্তু গরু গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে হেটে চলচে(গরুর গাড়ীতে যদিও তার জায়গা হয় নাই কিন্তু তন্তুর মনে ঠিকই

মনির উদ্দিনের জায়গা তৈরি হয়েছে ভালবাসা তৈরি হয়েছে সেই ভালোবাসা টানেই মনির উদ্দিন গরুর গাড়ীর পিছনে পিছনে ছুটে চলছেআসলে শিশুদের ভালোবাসা হয় পিওরযেখানে কোন ভেজাল থাকে নাতাই শিশুদের কে ভালোবাসুন)

 

ভালো লাগলে উপন্যাস টি পড়তে পারেনআশা করি নিরাশ হবেন নাআর হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে মানুষ নিরাশ হয় না

 

ধন্যবাদ